1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, জনমনে ফের আতঙ্ক

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১ জুলাই, ২০২২
  • ২৬৮ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট :: কুড়িগ্রামে সম্প্রতি বন্যায় জনমনে রেখে যাওয়া দগদগে ক্ষতকে উসকে দিতে জেলার ধরলা দুধকুমার তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রের বুকে আবারও ধেয়ে আসছে উজানের ঢল। এতে আবারও প্লাবিত হচ্ছে নদীতীরবর্তী নতুন নতুন এলাকা। ডুবে যাচ্ছে বীজতলা ও ফসলের মাঠ।

কয়েক দিন আগে বয়ে যাওয়া বন্যার ধকল না কাটতেই আবারও জেলার সব কটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরবাসীর মনে আতঙ্ক, এবার কী করবেন, কোথায় যাবেন? কীভাবে কাঠিয়ে উঠবেন সব ক্ষতি?

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) বিকেলে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস সূত্রে জানা যায়, ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার ও তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেলেও এখনো বিপৎসীমা নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে শুধু ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমা ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে আস্তে আস্তে ধরলার পানিও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

জানা গেছে, গত বন্যায় ডুবে যাওয়া ফসলের মাঠ ডুবে ৮০ হাজার কৃষকের প্রায় ১২৭ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হয়েছে। কৃষকের এই অপূরণীয় ক্ষতি কাটতে না কাটতে আবারও শুরু হয়েছে বন্যার বিধ্বংসী আচরণ। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এখানকার কৃষকরা।

সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়নের প্রথম আলো চরের কৃষক আতাউর রহমান বলেন, গত বন্যায় পাট, সবজিখেতের ক্ষতি হয়েছে। এখন বীজতলা করেছি, সেটাও পানিতে ডুবে গেল। তিন-চার দিন যদি এই পানি থাকে, তাহলে বীজতলা নষ্ট হয়ে যাবে।

সদরের পাঁচগাছি ইউনিয়নের মাছচাষি খডু মিয়া বলেন, আমার পুকুর গতবার তলিয়ে প্রায় অর্ধেকের বেশি মাছ বের হয়ে গেছে। আবারও যদি বন্যা হয়, তা নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছি।

সদরের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের (ইউপি) সদস্য আব্দুল মজিদ জানান, পানি শুকাতে না শুকাতেই আবারও ধরলার পানি বৃদ্ধির ফলে আমার এখানে প্রায় ৩০০ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবোর) নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ভারতের আসাম, মেঘালয় ও হিমালয় পাদদেশীয় বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টির ফলে কুড়িগ্রামের নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বর্তমানে বড় কোনো ধরনের বন্যার আশঙ্কা নেই।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..